এখনও যেভাবে প্লে-অফে যেতে পারবে কলকাতা
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরে খুব একটা স্বস্তি নেই কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। আসরের শুরু থেকে নিজেদের উত্থান-পতনে প্লে-অফের ভাগ্য ঝুলে গেছে কেকেআরের। পরের ধাপে যেতে কলকাতাকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। সেই সঙ্গে ভাগ্যের পরীক্ষাতেও জিততে হবে নিতিশ রানাদের।
প্লে-অফে কলকাতার যাওয়ার সমীকরণটা খুব কঠিন। তবে এখনও আশা কিছুটা টিকে রয়েছে। তবে সেটা করতে হলে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্য দলের ফলের উপরেও নির্ভর করতে হবে নাইট রাইডার্সকে।
আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলেছে কলকাতা। যার মধ্যে ৫টিতে জিতে তাদের পয়েন্ট হলো ১০। অবস্থান টেবিলের সাত নম্বরে। হাতে এখনও দুটি ম্যাচ আছে। একটি চেন্নাই সুপার কিংস ও অন্যটি লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। প্রথমতো এই দুটি ম্যাচেই জিততে হবে কলকাতাকে। তাহলে ১৪ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৪।
নিজেদের কাজ সারার পর কলকাতাকে এবার তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের জয়-পরাজয়ে। সেক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবিলের উপরের তিন দল—গুজরাট, চেন্নাই ও মুম্বাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না কেকেআর। তাই তাদের দেখতে হবে পরের দলগুলোর ফলাফল। যেমন—রাজস্থানের এই মুহূর্তে পয়েন্ট ১২। রাজস্থান আর একটি ম্যাচ জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই কলকাতার বিদায় নিশ্চিত। কলকাতার আশা বাঁচবে তখনই যখন রাজস্থান নিজেদের পরের দুটি ম্যাচেই হারবে। তাহলে রাজস্থানের পয়েন্ট থাকবে ১২তেই।
অন্যদিকে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পয়েন্ট ১১। তাদের বাকি আছে তিন ম্যাচ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও শেষ ম্যাচে কেকেআরের কাছে হারলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৩।
এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১০। বাকি তিন ম্যাচে কোহলিরা লড়বেন রাজস্থান, হায়দরাবাদ ও গুজরাটের বিপক্ষে। সেক্ষেত্রে দুটিতে হারলেই সমীকরণ সহজ হবে কেকেআরের। পাঞ্জাব কিংসের পয়েন্টও বেঙ্গালুরুর সমান ১০। বাকি আছে তিনটি ম্যাচ। তার মধ্যে দিল্লির বিপক্ষেই দুটি। অন্যটি রাজস্থানের বিপক্ষে। এখানেও যদি দুটিতে হেরে যায় তারা তাহলে আশা থাকবে কেকেআরের।
হায়দরাবাদের পয়েন্ট হলো এই মুহূর্তে ৮। বাকি চার ম্যাচের অন্তত দুটিতে হারতে হবে তাদের। আর দিল্লির বাকি দুই ম্যাচের একটিতে হারলেই হবে। উপরের সমীকরণগুলো যদি মিলে যায় তবেই খুলবে কলকাতার ভাগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা সময়ই বলে দেবে!