কলকাতাকে বিদায় করে প্লে-অফে লখনৌ
আন্দ্রে রাসেল-সুনিল নারাইনদের মতো তারকাদের নিয়েও কলকাতা নাইট রাইডার্স যেন ছন্নছাড়া এক দলের নাম। চলতি আসরে মোটেও ভক্তদের প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি আইপিএলের দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা। যার ফলস্বরুপ গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতিশ রানার দলের। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে ১ রানে হেরে আসর শেষ করল কলকাতা।
গতকাল শনিবার (২০ মে) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় লখনৌ। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে থামে কলকাতার ইনিংস। ১ রানের রুদ্বশ্বাস জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল লখনৌ।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রত্যাশিত শুরু করতে ব্যর্থ লখনৌর দুই ওপেনার কারান শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। দলীয় ১৪ রানের মাথায় হারশিত শর্মার বলে শারদুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ৩ রান করে ফেরেন কারান শর্মা। শুরুর ধাক্কা সামলে ডি কক- প্রিরাক মানকাদের ব্যাটে চাপ সামাল দেয় লখনৌ। এই দুই ব্যাটারের ৪১ রানের মাঝারি জুটিতে রানের গতি বাড়ায় লখনৌ।
তবে ফের ছন্দপতন। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় ভৈবব অরোরার বলে হারশিত রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মানকাদ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৬ রান। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই রানের খাতা খেলার আগে ফিরে যান মার্কাস স্টয়নিস। ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে লখনৌ।
সেই চাপ আরও বাড়ে ডি কক ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার বিদায়ে। দলীয় ৭১ ও ৭৩ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাদের। কক ২৮ ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ৯ রান করে আউট হন।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আয়ুশ বাদুনি ও নিকোলাস পুরান। এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। মূলত এই জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পায় লখনৌ। এরপর বাকি ব্যাটাদের ছোট ছোট সংগ্রহে ভর করে ১৭৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লখনৌ। কলকাতার হয়ে অরোরা সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু করে কলকাতা। দুই ওপেনার জেসন রয় ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে তুলে ফেলে ৬১ রান। এরপরই প্রথম উইকেট হারায় কলকাতা। কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে রবি বিশনইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন আইয়ার।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেটে হারাতে সময় লাগেনি কলকাতার। দলীয় ৭৮ রানের অধিনায়ক নিতিশ রানার উইকেট হারায় কেকেআর। ১০ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপরই ছন্দপতন কেকেআরের। অল্প রানের ব্যবধানে হারায় জেসন রয় ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট।
২৮ বলে ৪৫ রান করে রয়। আর গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১০ রান। ১০৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো কলকাতাকে টেনে তোলার দায়িত্ব পড়ে আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিংয়ের কাঁধে। তারাও পারেননি সফল হতে। দলীয় ১২০ রানের মাথায় বিশনইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাসেল। এরপরই কার্যত শেষ হয়ে যায় কলতার জয়ের আশা।
তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রিঙ্কু। জাগিয়ে তোলেন জয়ের সম্ভাবনাও। তবে শেষমেশ ১ রানের জন্য হার মেনে নিতে হয় তাকে। ৩৩ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন রিঙ্কু।