পাতানো নির্বাচন করতে বিএনপিনেতাদের বন্দী রেখেছে সরকার : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আবারও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সব বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ব্যাপক যানজটে আটকা পড়ার কারণে মানববন্ধনে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
রিজভী বলেন, ‘এই সরকার চায়, বিএনপির অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখতে। কারণ সরকার চায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে, অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদেরকে নো এরেস্ট নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।’
‘বিদেশিদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবে না’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘আসলে বিদেশিদের সোচ্চার কণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে, তাদের পরিবার যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীদের আটক রেখেছে।’
কারাবন্দী নেতা রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, এস এম জাহাঙ্গীর, গোলাম মাওলা শাহিন, আজিজুর রহমান মুসাব্বিরসহ যাদেরকে আটক রাখা হয়েছে, তাদের সবার মুক্তি দাবি করেন রিজভী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।