ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন : হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত কন্টেট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান আজ রোববার (১৮) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ১৫ জন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের বৈধ এবং আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।’
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে। থাকবে সিসি ক্যামেরাও।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি পাঁচ মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।
এ নির্বাচনে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান মনোনীত), গণতন্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর (মহাসচিব মনোনীত), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
তবে গণতন্ত্রী পার্টির দেওয়া দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে তাদের একজন প্রার্থী সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থী মো. মামুনুর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞাঁ (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (স্বতন্ত্র), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল (স্বতন্ত্র)।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।