সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ : অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৯ নেতার বিরুদ্ধে সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক রুহুল আমিনের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু আজ ফখরুল আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এদিন ধার্য করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির তৎকালীন সদস্য সচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া, শাম্মী আক্তার শিফা, রেহানা আক্তার রানু, নীলুফার চৌধুরী মনি, ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল মতিন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রতন, মোরতাজুল করিম বাদরু, রেহানা আক্তার ডলি ওরফে রেহানা ইয়াসমিন ডলি ও মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাদল।
২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল সচিবালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৯ নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে একই বছরের ৩১ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক তপন চন্দ্র সাহা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের ২৯ নেতাকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।