সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করেছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হতে পারে, যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিতে পারে। একের পর এক সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার কারণে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিচ্ছে। আমরা প্রমাণ করেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে সোমবার (৩ জুলাই) তিন সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র গাজীপুরের জায়েদা খাতুন, রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করানোর সময় এসব কথা বলেন।
জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শুধু নগরীতেই নয়, তৃণমূলেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এসময় শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখুন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে আধুনিক, সুন্দর ও পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজশাহী সিটির মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রত্যক্ষ করেছিল যখন বঙ্গবন্ধু তৎকালীন মহকুমাগুলোকে জেলায় পরিণত করেছিলেন এবং জেলাগুলোর সার্বিক উন্নয়ন তদারকি করার জন্য জেলা গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী ও সিলেটের আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে, সিলেট ও রাজশাহীতে নিরক্ষরতা ও বেকারত্ব দূর করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের সে অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর দিচ্ছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।