বর্ষাকালে অসুস্থতা কমাতে আট টিপস
বর্ষাকাল বছরের সবচেয়ে মনোরম ঋতু। প্রখর গরমের পরেই এই ঋতুর আগমন ঘটে। প্রকৃতিতে শান্তির দেখা মিলে। তবে এই ঋতুতে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। আমাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। এ সময় শরীরের বিপাকীয় কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য আমাদের পুষ্টি সমৃদ্ধ ডায়েটের পাশাপাশি আরও কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাবেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
ডাঃ আর আর দত্ত, গুরুগ্রামের পারস হেলথের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, “বর্ষাকালে সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুবেন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবেন। খাওয়ার আগে অবশ্যই ভাল করে হাত ধুবেন। জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে হাত না ধুয়ে মুখ স্পর্শ করবেন না”।
পানিবাহিত রোগ
বর্ষাকালে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই এ সময় পানি পান করা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। সব সময় নিরাপদ এবং পরিষ্কার পানি পান করুন। অবশ্যই পানি ভাল করে ফুটিয়ে নিবেন। রাস্তার পাশের খাবার খাবেন না। এতে পেটে সমস্যা হতে পারে।
খাদ্যে নিরাপত্তা
ডাঃ দত্তের মতে, "বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এই কারণে খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে। এ জন্য খাবার রান্না করেই খেয়ে ফেলবেন। বাসি বা অবশিষ্ট খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিবেন”।
মশাবাহিত রোগ
বর্ষাকালে মশার প্রকোপ বেড়ে যায়। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত রোগ ছড়াতে পারে। মশার কামড় প্রতিরোধে সর্বদা মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়ুন। ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে নিন।
পানির উৎস
ডাঃ দত্ত জানিয়েছেন, “বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি থেকে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়ের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তাই বাড়ির আশেপাশের জমে থাকা পানির উৎস, যেমন- খোলা পাত্র, গর্ত বা অব্যবহৃত টায়ারগুলো সরিয়ে ফেলুন"।
বৃষ্টির পানি থেকে সুরক্ষা
বর্ষাকালে সব সময় নিজেকে শুকনো রাখুন। বাইরে গেলে কখনই ছাতা বা রেইনকোট বহন করতে ভুলবেন না। পানিরোধী জুতা পড়ে বের হবেন। এতে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে রক্ষা পাবেন।
পর্যাপ্ত বায়ুচলাচল
আর্দ্র পরিবেশে ছত্রাক বেড়ে যায়। তাই আপনার বাসস্থানে যথাযথ বায়ুচলাচল নিশ্চিত করুন। শুষ্কতা বজায় রাখতে জানালা খুলে রাখুন। ফ্যান বা ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান
নিজেকে সুস্থ রাখতে ফলমূল, শাকসবজি এবং শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য খান। হাইড্রেটেড থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। স্ট্রেসের মাত্রা পরিচালনা করুন। এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। আপনি কোন উদ্বেগ ছাড়াই বৃষ্টি উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া