সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে। আজ সোমবার (২৪ জুলাই) নয়াপল্টনে অনশন অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের দুই শতাধিক মুক্তযোদ্ধা অনশনে অংশ নেন। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে।
রিজভী বলেন, ‘নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রকে কবর দেওয়ার জন্য, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন। এক ভয়ংকর মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন। জনগণ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা জনগণের ভোট ডাকাতি করার জন্য আবারও মাস্টারপ্ল্যান করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গভীর রাতে, সন্ধ্যারাতে বা দিনের বেলায় ভোট ডাকাতি করতেই সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন মার্কিন মন্ত্রী উজরা জায়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি। বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে ঘোড়ার ডিম পেয়েছে। তাহলে আপনারা ইইউ ও পশ্চিমা দেশের প্রতি এত ক্ষুব্ধ কেন? এত গোস্বা কেন? আসলে ওবায়দুল কাদেরদের মনের মধ্যে কাল বৈশাখির ঝড় বইছে। ক্ষমতা হারানোর ভয় ঢুকছে। আমি বলতে চাই এবার আর রক্ষা পাবেন না। তাদের পতন সুনিশ্চিত।’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চান কেন? সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২৪ ঘণ্টা বাউল সংগীত গান কেন? আমি পরিষ্কার বলতে চাই, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের পরিচালানায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জয়নাল আবদীন ফারুক, ভিপি জয়নাল আবেদীন, শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির মুক্তযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব) জয়নাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী আবুল হোসেন প্রমুখ।