আল-আমিনের সামনে ‘প্রথম’ হওয়ার হাতছানি
এশিয়া কাপ শুরুর আগে সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না আল-আমিন হোসেন। তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ওপরই ছিল বেশির ভাগ আলো। এমনকি ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়ার পরও আলোচনার অন্ত নেই মুস্তাফিজকে নিয়ে। কিন্তু আল-আমিন হোসেনের দারুণ বোলিং যে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো আল-আমিন ফাইনাল শুরু করতে যাচ্ছেন সবার ওপরে যাওয়ার হাতছানি নিয়ে।
এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরে আছেন আল-আমিন। অন্যদের চেয়ে তাঁর ব্যবধানও অনেক বেশি। চার ম্যাচে আল-আমিন নিয়েছেন ১০টি উইকেট। আর চার ম্যাচ খেলে সাতটি উইকেট নিতে পেরেছেন তিনজন। তাঁরা হলেন ভারতের হার্দিক পান্ডে, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ও শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলাসেকারা।
তবে এশিয়া কাপের বাছাইপর্বকেও হিসাবে নিলে আল-আমিন আছেন আরো দুজনের পর। আরব আমিরাতের দুই বোলার আমজাদ জাভেদ ও মোহাম্মদ নাভিদ নিয়েছেন ১২ ও ১১টি উইকেট। তাঁরা দুজনেই অবশ্য খেলেছেন সাতটি করে ম্যাচ। এশিয়া কাপের ফাইনালে তাঁদেরও ছাড়িয়ে যেতে পারেন আল-আমিন।
এশিয়া কাপের চার ম্যাচের তিনটিতেই ডানহাতি এই পেসার নিয়েছেন তিনটি উইকেট। সেই তিনটি দলও আবার ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা আরব আমিরাতের বিপক্ষেই বরং নিষ্প্রভ ছিলেন আল-আমিন। নিয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট।
আলোচনায় না থেকেও আল-আমিন যেভাবে উইকেট নিয়ে গেছেন, তাতে এরই মধ্যে তিনি পেয়ে গেছেন ‘নীরব ঘাতকের’ অভিধা। ফাইনালেও আল-আমিন জ্বলে উঠতে পারবেন এবং নিজেকে সবার ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন—এমন আশাই করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা।