কাজে লেগেছে তাসকিনকে নিয়ে মাশরাফির ‘জুয়া’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫৩ রানের পুঁজি কিছুটা কমই হয়ে গেল কি না, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরপরই। পিটার বোরেন, বেন কুপারদের রান সংগ্রহের গতি ও ধরন দেখে হয়তো ক্ষণিকের জন্য হারের শঙ্কাও চেপে বসেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। কিন্তু শেষমুহূর্তে তাসকিন আহমেদ যেভাবে বোলিং করে দলকে আট রানের ঘামঝরানো জয় এনে দিলেন, তা সত্যিই মুগ্ধ করেছে সবাইকে। অধিনায়ক মাশরাফিও ম্যাচ শেষে জানালেন তাসকিনকে নিয়ে তাঁর নির্ভরতার কথা।
জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। দুই ওভার করে বোলিং করার সুযোগ ছিল তাসকিন ও আল-আমিনের। অভিজ্ঞতার বিচার করলে হয়তো আল-আমিনকেই বেছে নিতেন অধিনায়ক। কিন্তু মাশরাফি তা করেননি। শেষ তিন ওভারের দুই ওভারই করিয়েছেন ২০ বছর বয়সী তাসকিনকে দিয়ে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দারুণভাবে দিয়েছেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার।
১৭তম ওভারে তাসকিন দিয়েছেন মাত্র ছয় রান। ১৯তম ওভারে আল-আমিন একটি উইকেট নিলেও দিয়েছিলেন ১৬ রান। শেষ ওভারে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। এবারও দারুণ বোলিং করে ডাচদের আট রানেই আটকে রেখেছিলেন তাসকিন। ৫৮ বলে ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার তামিম ইকবালের হাতে উঠলেও বাংলাদেশের জয়ের পেছনে তাসকিনের অবদানও যে কম নয়, তা ম্যাচ শেষে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি।
শেষ সময়ে কেন তাসকিনকে দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওভার করালেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেছেন, ‘শেষে আল-আমিনেরও দুটা ওভার ছিল, তাসকিনেরও দুটা ছিল। কিন্তু আমি তাসকিনকেই বেছে নিয়েছিলাম। কারণ তার বলে গতি বেশি ছিল। ইয়র্কারও সে ভালো করছিল। ক্রিকেট খেলায় তো যেকোনো কিছুই হতে পারে। কিন্তু আমি তাসকিনকে নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
আল-আমিন তিন ওভার বল করে নিয়েছেন দুটি উইকেট। অন্যদিকে খুব বেশি উইকেট না পেলেও এশিয়া কাপের শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করে নজর কাড়ছেন তাসকিন। আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও চার ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ২১ রান।
শেষমুহূর্তে বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ের পেছনে মাশরাফির অবদানও অবশ্য কম নয়। নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের ১৭তম ওভারে মাত্র তিন রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সব মিলিয়ে চার ওভার বল করে মাশরাফি দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান।