গাজায় দুর্দশা কমাতে রেড ক্রসের আহ্বান
তিন সপ্তাহ আগে থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি সব বন্দিদের মুক্তির দাবি জানানোর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার যুদ্ধ হবে ‘দীর্ঘ ও কঠিন’।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা আগে প্রবেশের পর সেখানে এখনও অভিযান চলছে। আর এসব ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বেগ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, গাজায় আরও কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক মারা যেতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রেড ক্রস গাজার সাধারণ মানুষের ‘অসহনীয়’ দুর্দশা কমাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি লোককে হত্যার পর গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বিরামহীন বোমা হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে।
২৪ লাখেরও বেশি লোক অধ্যুষিত জনবহুল গাজার কয়েক হাজার ভবন বিমান হামলায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অর্ধেকেরও বেশি লোক হারিয়েছে তাদের বাড়িঘর।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক বলেছেন, অসহনীয় মানবিক দুর্দশা কমাতে সব পক্ষকে সংঘাতের পথ থেকে সরে আসতে হবে।
এদিকে আজ রোববার ইসরায়েলি বিমান থেকে গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া। এতে ওই সব এলাকাকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে জানানো হয় উত্তরাংশের এলাকা নিরাপদ নয় এবং জনসাধারণকে দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। এর আগে স্থল অভিযান শুরুর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও একই রকম নির্দেশনা দিয়েছিল।
অন্যদিকে, নিজেদের ‘অস্তিত্ব’ রক্ষায় হামাসকে নির্মূল করতে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার যুদ্ধ হবে দীর্ঘ মেয়াদী ও কঠিন এবং আমার তার জন্য প্রস্তুত আছি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তর প্রান্তে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে যৌথভাবে সাঁজোয়া যান নিয়ে পদাতিক বাহিনী ও প্রকৌশলীদের দল অভিযানে অংশ নিয়েছে।