সব হারিয়ে পাকিস্তান ম্যাচের আগে 'সিরিয়াস' বাংলাদেশ
ছয় ম্যাচ, এক জয়, পাঁচ হার! এই হলো বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষতিয়ান। টুর্নামেন্টের পরের ধাপের কোনো আশাই আর বাকি নেই। যে তিন ম্যাচ বাকি তা শুধু নিয়মরক্ষার। তবে, বাংলাদেশের জন্য শুধু নিয়মরক্ষার বললে ভুল হবে। বলা যেতে পারে, মান বাঁচানোর। টানা হারে পথ হারানো দলের জন্য এই ম্যাচ পথ খুঁজে পাওয়ার।
বাংলাদেশের শেষ তিন ম্যাচের প্রথমটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। যারা নিজেও এই টুর্নামেন্টে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। দুদলই পথের দিশা পাওয়ার খোঁজে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর)
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পরের দিন কোনো অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবির কর্তাদের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় সময় কেটেছে হোটেলে। এক ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। এ দিন আর অবশ্য কোনো সমালোচনা করেননি। পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটারদের। সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রশ্নোত্তর পর্বের সুযোগ না রেখে জানালেন, মূলত দলকে সাহস জোগাতেই তিনি কলকাতায় এসেছেন। এরপর অনেক কথার মাঝে জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস।
বিসিবি প্রধানের বক্তব্যটি ছিল এমন, ’হার-জিত বড় কথা নয়। মূল ব্যাপার হচ্ছে ভালো ক্রিকেট খেলা। ওদের এটা বলছি, তোমাদের লড়াই করা উচিত। ওরা কী চায় বলুক। যখন যা লাগে, আমরা আছি। ওদের যেটা প্রয়োজন আমরা করতে রাজি। ওদের কোনো পরামর্শ থাকলে আমরা নিতে রাজি আছি। ওরা কথা দিয়েছে, ওরা বসবে। ওরা বলেছে, তেমন চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। ওরা পারফর্ম তরতে চায়। এখন পারফর্ম মানে তো ওদের নিজেদের মধ্যে সেই সাহসটা আসতে হবে। নিজেদেরই খেলতে হবে। আমার কথা বলে মনে হয়েছে, ওরা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস।’
টানা হারের পর দলের সব সম্ভাবনাই যখন ডুবে গেছে তখন ক্রিকেটাররা সিরিয়াস। তাহলে কি এতদিন সিরিয়াস ছিলেন না সাকিবরা? রানের উইকেটে প্রায় সব দল যখন উড়ছে, তখন বাংলাদেশের অবস্থা তথৈবচ। আফগান ম্যাচ বাদ দিলে কোনো ম্যাচেই ন্যূনতম লড়াই পর্যন্ত করতে পারছে না। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের ধরণ ছিল আরও ভয়ংকর। শতভাগ ফেভারিট থেকেও আনকোরা ডাচদের সামনে দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশ। একের পর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়লেন শান্ত-লিটনরা।
পরিস্থিতি যখন এই তখন এতদিন পর এলো সিরিয়াসনেসের কথা। বিসিবি প্রধানও সাফাই গাইলেন ক্রিকেটারদের পক্ষে। রাতে ক্রিকেটারদের নিয়ে যোগ দিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজিত নৈশভোজে। দলকে চাঙ্গা করে এবার নামাবেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। চাঙ্গা হওয়া বাংলাদেশ মুখোমুখি বাবর আজমদের। লড়বে রানে ফেরার মিশনে। লড়বে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে। সব হারিয়ে যেটুকু বেঁচে আছে,সেটুকু টিকিয়ে রাখতে।