শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের তৃতীয় জয়
আফগানিস্তান—চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে চমক জাগানিয়া দল। গত দুই বিশ্বকাপে যাদের নামের পাশে মাত্র একটি জয় ছিল, তারাই এবারের বিশ্বকাপে বড় দলগুলোকে রীতিমতো ধরাশায়ী করে ছাড়ছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো শ্রীলঙ্কার নাম। লঙ্কানদের হারিয়ে আসরে তৃতীয় জয় তুলে নিল রশিদ-নবীরা।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৪১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৫.২ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে উঠে গেল আফগানরা।
২৪২ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে বাজে শুরু করে আফগানিস্তান। শূন্য রানের মাথায় হারায় রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট। শুরুর ধাক্কা অবশ্য দারুণভাবে সামলেছে আফগানরা। রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরান মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে। দলীয় ৭৩ রানে মধুশঙ্কার বলে করুণারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাদরান। ৫৭ বলে ৩৯ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
এরপর হাসমতউল্লাহ শাহিদীকে নিয়ে জুটি গড়েন রহমত। এই জুটিতে আসে আরও ৫৮ রান। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় ৬২ করে ফেরেন রহমত। তার বিদায়ে ফের কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও শাহিদী মিলে সেই চাপ সামলে দারুণ ব্যাটিং করেন। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সাত উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ২২ রানের মাথায় দিমুথ করুণারত্নের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ফজল হক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১৫ রান। এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নিশানকা।
দলীয় ৮৪ রানে ওমরজাই এর বলে উইকেটের পেছনে রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে ধরা পড়েন নিশানকা। ৬০ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর জুটি গড়েন নতুন দুই ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই জুটিও অবশ্য খুব বেশি বড় হয়নি। দলীয় ১৩৪ রানে ফেরেন মেন্ডিস। ৫০ বলে ৩৯ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ১৮৫ রানের মাঝে সাত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও মাহিশ থিকসানার ব্যাটে স্কোরর্বোডে ২৪১ রান তোলে লঙ্কানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৪৯.৩ ওভারে ২৪১/১০ (নিশানকা ৪৬, করুণারত্নে ১৫, মেন্ডিস ৩৯, সামারাবিক্রমা ৩৬, আসালাঙ্কা ২২, সিলভা ১৪, ম্যাথিউস ২৩, চামিরা ১, থিকসানা ২৯, রাজিথা ৪, মধুশঙ্কা ০; মুজিব ১০-০-৩৮-২, ফারুকী ১০-১-৩৪-৪, নবীন ৬.৩-০-৪৭-০, ওমরজাই ৭-০-৩৭-১, রশিদ ১০-০-৫০-১, নবী ৬-০-৩৩-০)
আফগানিস্তান: ৪৫.২ ওভারে ২৪২/৩ (গুরবাজ ০, জাদরান ৩৯, রহমত ৬২, শাহিদী ৫৮, ওমরজাই ৭৩; মধুশঙ্কা ৯-০-৪৮-২, রাজিথা ১০-০-৪৮-১, ম্যাথিউস ৩-০-১৮-০, চামিরা ৯.২-০-৫১-০, থিকসানা ১০-০-৫৫-০, সিলভা ৪-০-২১-০)
ফলাফল: আফগানিস্তান সাত উইকেটে জয়ী।