অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ইংলিশদের বিদায়
একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। অন্তত বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততেই হতো। কিন্তু, সেই আশায় গুড়ে বালি। টানা হারতে থাকা ইংলিশরা পারল না অসিদের বিপক্ষেও। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের বিদায় নিশ্চিত করল গেলবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৩৬তম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৩ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে হেরেছে ইংলিশরা। জিতেছে কেবল একটিতে, সেটিও জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
আজ শনিবার ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ২৮৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ২৫৩ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বড় ভূমিকা বোলারদেরই। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। সমান দুটি করে নিয়ে ভূমিকা রেখেছেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক।
অসিদের বোলিং বিভাগের সামনে বেশিদূর যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন বেন স্টোকস। ৫০ রান এসেছে ডেভিড মালানের ব্যাট থেকে। বাকিরা ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে কপাল পুড়েছে ইংলিশদের।
চলতি বিশ্বকাপে প্রাপ্তির তেমন কিছু নেই ইংল্যান্ডের। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা বড্ড অচেনা। টানা হারে আছে টেবিলের তলানীতে। ধুঁকতে থাকা এই ইংল্যান্ডের এর আগে বিপক্ষে ব্যাট হাতে আধিপত্য দেখাল অস্ট্রেলিয়া।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন মারনাস লাবুশেন।
ইংল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচ নিয়মরক্ষার হলেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচ জিতলে অস্ট্রেলিয়ার সেমির স্বপ্ন জোরাল হবে। সেটাই হলো। দলীয় ১১ রানের মাথায় ক্রিস ওকসের বলে তুলে মারতে গিয়ে রুটের হাতে ধরা পড়েন ট্রাভিস হেড। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১১ রান। এরপর দ্রুতই আরেক ওপেনার ওয়ার্নারের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৫ রান।
দুই উইকেট হারালেও স্টিভেন স্মিথ ও মারনাস লাবুশেনের ব্যাটে ভালো জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৭৫ রান। এরপর দলীয় ১১৩ রানের মাথায় রশিদের বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্মিথ। ৫২ বলে ৪৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। স্মিথের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন আরেক ব্যাটার জশ ইঙ্গলিশ। এরপর লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভর করে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।