ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
সরকার পতনের ‘এক দফা’দাবিতে দুই দফা টানা অবরোধের পর আবারও রোববার থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়, নিহত সাথীদের হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং গ্রেপ্তার হওয়া সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদক মণ্ডলীসহ সারা দেশে হাজারো নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আগামী ১২ নভেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।
রিজভী বলেন, এই অবরোধে গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণের জন্য তাদেরকে অভিনন্দন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রিজভী জানান, অবরোধ ছাড়া রয়েছে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি। পোশাকশিল্পের মজুরির দাবিতে আন্দোলনে দুই নিহত শ্রমিকসহ ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত নিহত নেতাকর্মীদের জন্য আত্মার মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার সারা দেশে বাদ জুম্মা মসজিদে মসজিদে এই দোয়া মাহফিল হবে।
রোববার থেকে ডাকা অবরোধের আগে গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করেছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পুলিশ পন্ড করে দেওয়ার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় যা শুক্রবার ভোর ৬টায় এই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।
শুক্রবার বাদ জুমা দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে এসময় রিজভী আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জন। আর গত ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে নয় হাজার ৮৩১ জন। এক সাংবাদিকসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন নেতাকর্মী।