জ্বালানি ঘাটতি প্রশমনে সরকার অফশোর গ্যাস উত্তোলন বেছে নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের জ্বালানি ঘাটতি প্রশমিত করতে সরকার অফশোর গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই উদ্দেশ্যে আমাদের বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিপ্ট রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে সরকারে তার প্রথম মেয়াদে তিনি বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উন্মুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।’
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এজন্য দেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে, আমরা গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি এবং খাদ্য উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার বর্তমান যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের ভোগান্তি কমানোর ওপর জোর দিয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছি।’
আইটিএফসির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হানি সালেম বলেন, ‘অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে তারা সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।’
প্রকৌশলী হানি সালেম বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি চমৎকার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।