‘নাজিমুদ্দিন ধর্ম নিয়ে লিখতেন কি না দেখা প্রয়োজন’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মানুষের ধর্মে আঘাত দেওয়া, বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া, পৃথিবীর কোনো দেশেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নিহত নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘কেন এটা হয়েছে, কী হয়েছে, এখনই তা বলতে পারব না। আগে জেনে নিই।’ তিনি আরো বলেন, ‘নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করতেন কি না তা-ও দেখা প্রয়োজন।’
আপত্তিকর লেখা লিখলেই হত্যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আগের যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, তাঁদের ব্লগ যদি দেখেন, এভাবে মানুষের ধর্মে আঘাত দেওয়া, বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া, পৃথিবীর কোনো দেশেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
এর আগে ব্লগার হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার হয়নি বলেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আগের সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়ে গেছে এবং প্রধান হোতাদের হয় ধরা হয়েছে, না হয় চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার যে এলাকায় নাজিমুদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে, সেই সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তপন চন্দ্র সাহা বিবিসিকে বলেন, নিহত নাজিমুদ্দিন অনলাইন আ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন কি না, এ রকম তথ্য এখনো তাঁদের কাছে নেই।
তবে সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড আবারও প্রমাণ করে, দেশে উগ্রপন্থীরা তৎপর এবং তারা ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে নিশ্চিহ্ণ করতে চায়।
ব্লগার হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকার গাফিলতি করছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গি হামলার দায়ে ৭৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে কারাগারে রয়েছে।
গত বুধবার সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে নাজিমুদ্দিন সামাদকে (২৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে সূত্রাপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। নাজিমের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে।