নাজিম হত্যা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট
দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৬) হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট চলছে।
আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অবশ্য পরে প্রশাসনের সহায়তায় তালা ভেঙে নতুন কিছু ভবনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। তবে অর্ধেকের বেশি বিভাগেরই আজ ক্লাস হচ্ছে না।
আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জবি শাখার সভাপতি মুজাহিদুল অনিক এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁরা মূলত তিন দফা আন্দোলন করছেন। এগুলো হলো নাজিম হত্যার বিচার, আবাসন সংকট দূর করে পর্যাপ্ত হলের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া।
যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হলের ব্যবস্থা থাকত, তাহলে নাজিমকে বাইরে কোথাও থাকতে হতো না। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকলে তাঁকে এভাবে খুন হতে হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সকাল থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখর রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরাও নাজিম হত্যার বিচার চাই। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবিও জানিয়েছি আমরা।’ তবে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের হৃষিকেশ দাস রোডে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদ। ব্যস্ত এলাকায় খোলা দোকানপাটের সামনেই পাঁচজন মিলে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাঁকে।