প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লোৎসে পর্বত জয় বাবর আলীর
এভারেস্টের পর এবার বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে’র চূড়ায় লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি লোৎসে সামিট করলেন। আজ মঙ্গলবার (২১ মে) নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিট) লোৎসের চূড়ায় পৌঁছেন তিনি।
বাবর আলী এভারেস্ট জয়ের পর ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার পর্বত লোৎসে আরোহণ করলেন। বাবর আলীর আগে কেউ বাংলাদেশ থেকে লোৎসে আরোহণের চেষ্টা করেননি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই দুঃসাহসিক কাজ করেছেন তিনি। একই অভিযানে পরপর দুটি পর্বতের চূড়ায় ওঠেন তিনি। এতে একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত জয় করলেন তিনি।
অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান বলেন, ‘আজ তিনদিন পর রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার অবসান হলো। বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছেন। বেসক্যাম্পে পৌঁছলেই হবে আমাদের মূল উৎসব। আমরাও পারি! আমাদের দিয়েও সম্ভব! এটিই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি আট হাজারি শৃঙ্গ সামিট।’
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় লাল-সবুজের পতাকা ওড়ান বাংলাদেশি যুবক বাবর আলী। তিনি নেপালের স্থানীয় সময় রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে আটটায় এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছেন।
বাবর আলী এর আগে সতীর্থদের নিয়ে নেপাল এবং ভারতের বহু পর্বতে অভিযান করেছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি সামিট করেছেন নেপালের আমা দাবলাম পর্বত। পর্বতারোহণ তার নেশা হলেও সাইক্লিং, ম্যারাথন, স্কুবা ডাইভিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার অ্যাকটিভিটিতেও নিয়মিত জড়িত ছিলেন। অ্যাডভেঞ্চারের তাড়নায় হেঁটে ঘুরেছেন দেশের ৬৪ জেলা, সাইকেলে পাড়ি দিয়েছেন ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর পথ।
বাবর আলী পেশায় মূলত একজন চিকিৎসক। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বুড়িশ্চর এলাকার লেয়াকত আলী ও লুৎফুন্নাহার বেগমের দ্বিতীয় সন্তান বাবর ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের ছাত্র।