রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান
লক্ষ্যটা মাঝারি। জিততে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে পাড়ি দিতে হতো স্রেফ ১৫৯ রান। এই মাঝারি রান তাড়ায় জয়ের দুয়ারেই চলে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শেষ দুই বলে সমীকরণ দাঁড়ায় মাত্র ৬ রানের। সিঙ্গেল নিয়ে শেষ বলে ৫ রানের সমীকরণ দাঁড় করান অ্যারন জোন্স। এখানেই শেষ চমকটা দেখান নিতেশ কুমার। বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন এই স্বাগতিক ব্যাটার। তাতে, পাকিস্তান বনাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের আধিপত্যের জানান দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরের গল্পটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে। কানাডার বিপক্ষে ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে বিশ্বকে চমকে দেয় স্বাগতিকরা। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাজিমাত যুক্তরাষ্ট্রের। টেক্সাসের ডালাসে পাকিস্তানের বিপক্ষেও চমক দেখাল মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল।
গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মার্কিনিদের সঙ্গে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ১৫৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১৫৯ রান করল যুক্তরাষ্ট্র।
আগে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই পাকিস্তানকে হতাশ করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আট বলে ৯ রান করে সৌরভ নেত্রবালকারের শিকার হন তিনি। রিজওয়ানের ক্যাচ নেন স্টিভেন টেইলর। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট থেকে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে বটে, তার জন্য তিনি খেলেছেন ৪৩টি বল। ধীরগতির ইনিংসের ইতি ঘটে জসদীপ সিংয়ের বলে লেগ বিফোর হলে।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার উসমান খান ও ফখর জামানও ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ। উসমান তিন এবং ফখর ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন। টানা সমালোচিত হওয়ার পরও দলে জায়গা পাওয়া আজম খান আরেকবার সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছেন সবাইকে। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই লেগ বিফোর হন কেনজিগের বলে।
পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত দেড়শ রানের ঘর পার হতে সাহায্য করে শাদাব খানের ইনিংস। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে শাদাবের ব্যাট থেকে। এর জন্য তিনি খেলেন ২৫ বল। আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৬ বলে অপরাজিত ২৩ রান কিছুটা এগিয়ে নেয় পাকিস্তানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কেনজিগে তিনটি এবং সৌরভ দুই উইকেট শিকার করেন।