বাঁশখালীতে ৯ দফা দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আগামী ৫ দিনের মধ্যে আটক ব্যক্তিদের মুক্তিসহ নয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ‘গণ্ডামারা বাঁচাও কমিটি’ নামের একটি সংগঠন।
আজ বুধবার বিকেলে গণ্ডামারা হাদীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী।
সমাবেশে মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগামী সোমবারের মধ্যে আমাদের সমস্ত আসামিকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে। নিহত চারজনের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাঁচদিনের মধ্যেই দিতে হবে।’
মাহামুদুল ইসলাম বলেন, ‘নয়দফা বাঁশখালীর মানুষের দাবি। আমরা এস আলম বুঝি না, আমরা কোনো কোম্পানি বুঝি না। সরকার যদি জনগণের সরকার হয়, তাহলে সে সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য।’
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে মাহামুদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘একটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আগে পরিবেশের তিন রকমের সার্টিফিকেট লাগে। আমরা জেনেছি একটা সার্টিফিকেটও আপনারা পাননি। পরিবেশ অধিদপ্তর আপনাদের ছাড়পত্র দেয় নাই।’
‘গণ্ডামারা বাচাঁও কমিটি’র সভাপতি বদি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, মাস্টার মফজল আহমদ,আবদুর রহমান ও এনামুল হক সিকদার মানিক বক্তব্য দেন।
গত ৮ এপ্রিল হাদিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল সমাবেশে গত রোববার উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়। পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষে কর্মসূচি ১৫ দিন স্থগিত করা হলে গণ্ডামারার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে কয়লা বিদ্যুৎবিরোধী ২০১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহামুদুল ইসলামকে।
তবে এ সমাবেশে বসতভিটা ও কবরস্থান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন না।