বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা কেমন হবে, তা নিয়ে বেশ দুশিন্তায় ছিলেন ভক্তরা। কারণ মূল আসর শুরুর আগে ‘ভয়াবহ’ ফর্মে ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে, বিশ্বকাপ শুরুর পরই বদলে গেল সেই দৃশ্যপট। লঙ্কানদের হারিয়ে নাটকীয় এক জয় তুলে নিল নাজমুল শান্তর দল। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টগুলো।
১.মুস্তাফিজের দারুন স্পেল : আইপিএলের ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপেও ধরে রাখলেন মুস্তাফিজ। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তুলে নিলেন ১৭ রানে ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লেতে দারুন ব্যাটিং করতে থাকা লঙ্কানদের থামান ফিজ। তুলে নেন কামিন্দু মেন্ডিসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর শেষদিকে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে লঙ্কানদের চাপে রেখে তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও মাহিশ থিকসানার উইকেট।
২.রিশাদের অবিশ্বাস্য বোলিং: মুস্তাফিজের পাশাপাশি বল হাতে এদিন ছড়ি ঘুরিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। দলীয় সংগ্রহ একশ ছাড়িয়ে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছিল শ্রীলঙ্কা, ঠিক তখনই আক্রমণে এসে তুলে নেন ধনঞ্জয়া, আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্গার উইকেট। এই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। যেটিকে এই ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরা হচ্ছে। রিশাদ ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট।
৩.লিটন-হৃদয়ের জুটি : ১২৫ রানের ছোট্ট সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ে শুরুটা খুবই বাজে হয় বাংলাদেশের। মাত্র ২৮ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। এই জুটিতেই মূলত জয়ের ভিত গড়ে লাল-সবুজের দল। এই জুটিতে যোগ হয় ৬৩ রান। যেখানে ২০ বলে ৪০ করেন হৃদয়। আর লিটনের অবদান ১৮ বলে ১৮ রান।
৪.হৃদয়ের টানা তিন ছক্কা: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মুহূর্তের কথা বলতে গেলে সবার ওপরে থাকবে হৃদয়ের তিন বলে তিন ছক্কার বিষয়টি। ইনিংসের ১২তম ওভারে হাসারাঙ্গার প্রথম তিন বলে তিন ছয় হাঁকিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলেন এই ব্যাটার। অবশ্য ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে ওই ওভারের চতুর্থ বলেই বিদায় নেন তিনি।
৫.মাহমুদউল্লাহর দৃষ্টিনন্দন ছক্কা : শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে দুই উইকেট। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে শানাকাকে ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যা ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ১৩ বলে ১৬ রান করে শেষমেশ দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।