আইন করে ফিক্সিং আটকানো যাবে না : কোহলি
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা তোলপাড় তুলেছিল ক্রিকেটবিশ্বে। ভারত ও বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায়ও দেখা গেছে ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া। ক্রিকেটে এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধের জন্য অনেক উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে। তবে কোনো ধরনের আইনকানুন বা নিয়মনীতি দিয়ে ফিক্সিং বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।
ক্রিকেটে বিভিন্ন সময়ে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন বছরের জন্য। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে।
ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কোহলি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, খেলাটাকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ যতটা সম্ভব কাজ করছে। কিন্তু আপনি অবশ্যই কারো ঘরে গিয়ে বলতে পারেন না যে, এর এর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। কর্তৃপক্ষ শুধু কিছু নিয়মনীতিই নির্ধারণ করে দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি পুরোটাই থাকে ক্রিকেটারদের হাতে। কেউ যদি কোনো ভুল করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনো কিছু দিয়েই সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে অনৈতিক কিছু করার প্রস্তাব পাননি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন কোহলি। ভবিষ্যতেও ম্যাচ পাতানোর মতো কোনো দুর্নীতিতে জড়াবেন না বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার, ‘সৌভাগ্যবশত আমি কখনোই এ জাতীয় কোনো কিছুর মুখোমুখি হইনি। আমি খেলাটাকে খুবই ভালোবাসি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এ ধরনের ঘটনাগুলো দেখলে খুব খারাপ লাগে।’
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর অল্প সময়ের মধ্যেই ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছিলেন কোহলি। এখন পর্যন্ত ১৭১টি ওয়ানডে খেলে তিনি করেছেন ৭,২১২ রান। ৪১টি টেস্ট খেলে করেছেন ২,৯৯৪ রান।