খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেছে ও সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুনসুঁটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন।
ডা. জাহিদ বলেন, আজ আরও কিছু রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তার স্বাস্থ্যের অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে তা বলা যাবে না। স্থিতিশীল বলা যায়। তবে টেস্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে তার চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন চিকিৎসকরা। বড় ছেলে তারেক রহমানের তদারকিতে লন্ডন ক্লিনিকে লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা।
এর আগে বুধবার ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিকে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা) খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের টার্মিনালে বাংলাদেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান তাঁর ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। সেখানে সাত বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ হয়। তখন সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। পরে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে লন্ডন যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন বলে জানান খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সবশেষ সাড়ে সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া। তখন চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।