ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে খুলনাকে চ্যালেঞ্জ দিল চিটাগাং
দিনের প্রথম ম্যাচে রান দেখেনি সাগরিকার দর্শকরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজেদের দর্শককে রান উৎসবের আনন্দ উপহার দিল চিটাগাং কিংস। হোম ভেন্যুতে মাঠে নেমে দারুণ সেঞ্চুরি উপহার দিলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। তার শতরানে ভর করে খুলনা টাইগার্সকে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জ জানাল চিটাগাং কিংস।
আজ বৃহস্পতিবার দিনের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে মাঠে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে তুলেছে ২০০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান এসেছে সেঞ্চুরিয়ান ক্লার্কের ব্যাট থেকে। ৫০ বলে যা সাজানো সাত চার আর ছয় ছক্কায়।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদে এদিন টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স। বোলিংয়ের শুরুতে সিদ্ধান্তটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পেরেছেন তারা। চিটাগাংয়ের দলীয় ১৮ রানেই তুলে নেন ওপেনার উসমান খানকে। আবু হায়দার রনির শিকার হওয়ার আগে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
প্রথম উইকেট দ্রুত নেবার এই দারুণ সুযোগ আর লুফে নিতে পারেনি খুলনা। উল্টা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে থিতু হয়ে খুলনার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৬৩ বলে দুজন মিলে গড়েন ১২৮ রানের জুটি। দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় পারভেজের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৯ বলে ২৯ রান করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে উইকেট হারান পারভেজ।
পারভেজ ফিরলেও উইকেটে থেকে খুলনার মিরাজ, আবু হায়দার, হাসান মাহমুদদের শাসন করেন ক্লার্ক। উইকেটে জমে গিয়ে এই ইংলিশ ক্রিকেটার তুলে নেন চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। শতরান করেই থামেন তিনি। ২০২ স্ট্রাইক রেটে ৫০ বলে ১০১ রান করে থামেন তিনি।
সেট ব্যাটার ক্লার্ক ফেরার পর শামিম-মিঠুনদের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ২০০ রানে থামে চিটাগাং কিংস।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। সালমানও নেন সমান তিনটি। আবু হায়দারের শিকার একটি।