দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যেতে পারে তনু হত্যা মামলা
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়া যেতে পারে।
আজ মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এটা জনগণের মনকে যথেষ্ট বিচলিত করেছে। জনগণ এটার একটা সুষ্ঠু বিচার চান। এসব পরিপ্রেক্ষিত বিচার করে যদি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কোনোভাবে পাঠানো যায়, তবে নিশ্চয়ই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা বিবেচনা করবে।’
এ ঘটনার ময়নাতদন্তের দুটি প্রতিবেদন ভিন্ন হওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এ সম্পর্কে মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। তবে এতটুকু বলব, ময়নাতদন্তের রিপোর্টগুলো তদন্তের অংশ। এগুলো যখন পুলিশ আদালতে তার প্রতিবেদন সাবমিট করবে, তখন এ দুটো প্রতিবেদন সম্পর্কে পুলিশের একটা মন্তব্য থাকবে। এখনো আদালতে যদি কোনো অ্যাপ্লিকেশন করা হয়, তাহলে এটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার, তারা কী নির্দেশনা দেবে।’
আইনমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের পি আর সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোকে অপরাধ বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা একটা অপরাধ। যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের নিশ্চয়ই শাস্তিভোগ করতে হবে। কারণ, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। এটা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করতে পারি না।’
শিক্ষকের কোনো দোষ থাকলে সেটার বিচার করা যেত উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘এই শিক্ষক একজন ছাত্রকে মারধর করেছিল বলে আমি কাগজের রিপোর্টে দেখেছি। তবে যদি সেটাও হয়ে থাকে, তবে তাঁকেও বিচারের আওতায় আনা যেত। তাই বলে তৎক্ষণাৎ মোবাইল কোর্ট ছাড়া ওখানে এ রকম বিচার করাটা বরদাশত করা যাবে না। আমার মনে হয়, এটার ব্যাপারেও একটা আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’