রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী
বিচারপতিদের সুরক্ষার জন্য এবং মর্যাদা আরো উন্নত করার জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, রাজনৈতিকভাবে এ আইনটি ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন ২০১৬ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে আইনটির রাজনৈতিক অপব্যবহার হবে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এখানে অহেতুক এবং বিনা কারণে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।
এ আইনটি উত্থাপনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতামত নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত মার্চে প্রধান বিচারপতির হাতে আইনের খসড়া দিয়েছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত চেয়ে আইনের খসড়া পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো মতামত আসেনি। আগামী ৫ মে হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত একটি মামলার রায় অপেক্ষমাণ আছে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট মতামত দিতে পারে না।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আইনটি নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এখন আমরা এ বিষয়টি উল্লেখ করে মতামত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে খসড়া পাঠাব। মতামত দেওয়া না দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কোনো আইন সংসদে উত্থাপনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে যেহেতু এ আইনের স্টেক হোল্ডার হলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। এ কারণে বিচারপতিদের মতামত নেওয়া আমাদের জন্য বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। আইনটি মাত্র আজ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কোনো সুপারিশ ও মতামত থাকলে তা খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আইনটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সংসদে উত্থাপনের আগে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হবে।