নির্দিষ্ট সময়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ করা নিয়ে শঙ্কা
আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেও স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে স্মার্ডকার্ড উৎপাদন ও বিতরণে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে তাগাদা দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
১৯ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদ-উর-রহমান ইসি সচিবকে এক চিঠিতে এ তাগাদা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১১ ও ১২ মে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় পর্যালোচনা বৈঠকে (ট্রাইপারটাইট পোর্টফোলিও রিভিউ মিটিং) বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে ইসি সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এতে বিশ্বব্যাংক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ইসি সচিবালয় ও আইডিইএ প্রকল্পের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘কিন্তু প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম জনগণের কাছে এনআইডি কার্ড বিতরণ ইতিমধ্যে আরম্ভ করা সম্ভব হয়নি। আলোচনায় প্রকল্প পরিচালক উল্লেখ করেন, ত্রুটিগত কারণে চার মাস কার্ড উৎপাদন বন্ধ ছিল এবং এ কারণে কার্ড বিতরণ কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।’
এতে সভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ অবস্থায় প্রকল্পের বাকি সময়ের মধ্যে কার্ড উৎপাদন ও বিতরণ কার্যক্রম এবং সফলভাবে প্রকল্প সম্পন্ন করার বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে ইসি সচিবকে ইআরডির পক্ষ থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইমপ্লিমেনটেশন রিভিউ মিশন’ আগামী ৮ জুন থেকে ৬ জুন আইডিইএ প্রকল্প পরিদর্শন ও ইসি সচিবের সঙ্গে ‘র্যাপ-আপ মিটিং’-এ অংশ নেওয়ারও কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মূসা বলেন, ‘আইডিইএ প্রকল্পের মূল কাজটাই হচ্ছে স্মার্টকার্ড উৎপাদন ও বিতরণ কার্যক্রম। আমরা মন্ত্রণালয়ের তাগাদা পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এরই মধ্যে গত দুই বছরে হালনাগাদ তালিকাভুক্ত ভোটারদের স্মার্টকার্ড উৎপাদন শেষ হয়েছে বলে জানান সৈয়দ মুহাম্মদ মূসা। তবে কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি এড়িয়ে যান এ কর্মকর্তাও।