মোসাদ সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন আসলাম
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মনিরুল।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১১ জনকে নিয়ে ওই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং সরকার উৎখাতে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেন।
গতকাল বুধবার গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ফজলুল হক ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসলাম চৌধুরীর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসলামের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩১ মে গুলশান থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে ১৫ মে বিকেলে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ মে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর ৯ মে প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।