শাহাদাত ও নিত্যর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১২ জুলাই
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। আগামী ১২ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক তানজিলা ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আজগর স্বপন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আদালতে বাদী সাক্ষ্য দিতে না আসায় এবং শাহাদাত আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত সময় দিয়েছেন। তবে শাহাদাতের স্ত্রী নিত্য হাজির ছিলেন। আগামী ১২ জুলাই এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।’
এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি উভয়ের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী নিত্যর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে তাঁরা দুইজনই জামিনে আছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে নির্যাতনের শিকার হ্যাপি।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর একইদিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে মিরপুর থানার পুলিশের কাছে নিয়ে যান সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হোসেন। সেখানে পুলিশের কাছে হ্যাপি অভিযোগ করে, শাহাদাতের বাসায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল শিশু নির্যাতনের অভিযোগে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর থেকেই শাহাদাত স্ত্রীসহ পলাতক ছিলেন ।