নিজেদের নির্দোষ দাবি শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিলা ইসমাইলের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় দুজন এ দাবি করেন।
এদিকে আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক শফিকুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি ও তার মামা সোহাগ আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে তারা শাহাদাত দম্পত্তির নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছে।
এ দিকে আজ শাহাদাত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য আদালতে হাজির ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আজগর স্বপন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, স্ত্রী নিত্যকে গত বছরের ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে গৃহকর্মী হ্যাপি।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করেন শাহাদাতের বাসায় তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।