ফাহিমের ক্ষেত্রে সঠিক কী হয়েছে, জেনে বলতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টায় আটক গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিমের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহার হোসেন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনটাই জানিয়েছে। বাংলাদেশ আইন সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ফাহিমের ক্ষেত্রে সঠিক কী হয়েছে, সেটি আমি এখন বলতে পারব না। আমাকে জেনে বলতে হবে।’ গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থাকার পরও কীভাবে গুলি লেগেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনও হতে পারে তাঁর সঙ্গী-সাথীরা তাঁকে গুলি করেছে, যাতে কারো নাম না বলতে পারে।
এ সময় সাঁড়াশি অভিযানের সফলতার কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘অবশ্যই সাঁড়াশি অভিযান সফল হয়েছে। কোর্টের বিভিন্ন মামলায় যেসব আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল, নির্বাচনের কারণে আমরা তাদের আটক করতে পারিনি। তাই আমরা স্পেশাল এ ড্রাইভটি দিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। ক্রিমিনাল যারা আমাদের সন্দেহভাজন ছিল তাদেরও গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। ঈদকে লক্ষ্য করে আমরা ক্রিমিনালদের ধরতে পেরেছি। সে জন্য আমরা আশা করি, আমাদের ঈদের কেনাকাটা, রোজা খুব সুন্দরভাবে দেশের লোকজন পালন করবে।’
সাতদিনের অভিযান অব্যাহত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখনই প্রয়োজন হয় আমরা তখনই করি। কাজেই অভিযান শুরু কিংবা শেষ সেটি বলা যাবে না, যখনই প্রয়োজন অনুভব হবে তখনই চলবে।’
গ্রেপ্তারের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিরোধী দলের রুহুল কবির রিজভী সাহেবও বলেছেন, তাঁর দলের নেতাকর্মীদের নাকি আমরা গ্রেপ্তার করছি। আমরা ধরি আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, আর তিনি বলেন, তার দলের নেতাকর্মী।’
সমিতির সভাপতি ড. খান মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বোরহান উদ্দিন আহমেদ, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ।
গত বুধবার বিকেলে মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ভাড়া বাসায় হামলা চালায় তিন দুর্বৃত্ত। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় ফায়জুল্লাহ ফাহিমকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।