আরেক মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ
চট্টগ্রামে একটি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে দেওয়া চেক প্রত্যাখ্যানের (ডিজঅনার) মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার সকালে মহানগর হাকিম আবদুল কাদেরের আদালতে আসলাম চৌধুরীকে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, পূবালী ব্যাংকের চট্টগ্রামের সিডিএ শাখা থেকে ৩৬ কোটি আট লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে আসলাম চৌধুরীর দেওয়া আটটি চেক ডিজঅনার হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেওয়া এসব চেক ডিজঅনার হয়।
চেক ডিজঅনারের আটটি মামলার শুনানি শেষে আজ বিএনপির এই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, আসলাম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে তাঁর মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
গত ১৫ মে বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ মে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর ৯ মে প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।