নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ শনিবার বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সম্প্রতি গুলশানের হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বাবা-মায়েরা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এসব হামলাকারীর সঙ্গে আইএস বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপের কোনো সম্পর্ক নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে হামলাকারীদের সবাই দেশি জঙ্গি।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ছয় সন্ত্রাসীর মধ্যে পাঁচজনের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে যে, এসব হামলাকারী বিভিন্ন নিষিদ্ধ ও স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।
আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কমান্ডোরা বেকারির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং তিনজন বিদেশিসহ ১৩ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেন। কমান্ডোরা মাত্র ১৩ মিনিটে সন্ত্রাসীদের পরাজিত করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু ধারা এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার দেশে সব ধরনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটানোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিরোধী কয়েকটি গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশ ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধ্বংস করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু স্থানীয় মৌলবাদী গ্রুপ দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এসব বিপথগামী লোকদের মদদ দিচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম গুলশানের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কি না তা পুলিশ সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তাকে বহিষ্কার করেছে।
জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত আট অপরাধীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরে নৃশংসভাবে খুন হন।