তুরস্কের জনগণ চাইলে ফের মৃত্যুদণ্ড, বললেন এরদোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, দেশের পার্লামেন্টে ও জনগণ মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার পক্ষে থাকলে তিনিও এর অনুমোদন দেবেন।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আয়োজিত জনসভার বক্তৃতায় এরদোয়ান এ কথা বলেন। ওই জনসভায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের এক মাস পর জনসভাটি অনুষ্ঠিত হলো।
জনসভায় রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ফেতুল্লা গুলেনের সব সমর্থককে রাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত দেশটির ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেনকে দায়ী করা হয়। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় থেকেই এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন গুলেন। একই সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার নিন্দা জানান তিনি। তবে এরদোয়ানের সরকার এরই মধ্যে ফেতুল্লা গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ জন্য অভ্যুত্থানের যুক্ত থাকার পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে বলেছে তুরস্ককে।
তুরস্কের তিনটি বিরোধী দলের দুটিরই নেতারা এবং দেশটির ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা রোববার সভায় অংশ নেন। ওই জনসভায় তুরস্কের কুর্দিশ দলকে জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তুরস্কে গত ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ২৭০ জন নিহত হয়। এর পরপরই দেশজুড়ে ধড়পাকড় শুরু হয়। ফেতুল্লা গুলেনের সমর্থনের অভিযোগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিচ্যুত হন।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে পশ্চিমারা। এর মধ্যে এরদোয়ানের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে থাকা আরো বিতর্কের জন্ম দেবে।
তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক। তবে ইইউ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।