লক্ষ্মীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ এক
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলমগীর (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরেক বন্দুকযুদ্ধে এরশাদ উল্লাহ (৩৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়পুর গ্রামে এবং প্রায় একই সময়ে সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীরের বাড়ি দক্ষিণ রায়পুর গ্রামে। আর গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহ সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা।
আলমগীরের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁর বাঁ পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আহত এরশাদকে পুলিশ পাহারায় একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, দুটি ঘটনাতেই ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, তিনটি গুলি, চাপাতিসহ ডাকাতির কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, দুটি ঘটনায় রায়পুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদসহ চার পুলিশ ও সদর থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, গতকাল দিবাগত রাতে দক্ষিণ রায়পুর গ্রামে একদল লোক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। পরে আলমগীর নামের এক ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আলমগীরকে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে সদরের বিজয়নগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এরশাদ উল্লাহ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি আরো জানান, নিহত আলমগীর পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।