প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আগামীকাল দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পথে পথে তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়ার যে আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। আপনাদের অনুরোধ করছি, আগামীকাল নেত্রীর নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নির্দেশনা দেবে তা মানার জন্য। শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু শেখ হাসিনাই।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর কাফরুলে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আজ রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) এমিরেটসের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ত্যাগ করবেন। দুবাই হয়ে আগামীকাল বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তাঁর ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁকে ব্যাপক অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় ও বহুমাত্রিক অবদানস্বরূপ জাতিসংঘ পদক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত হন। এই বিরল সম্মান লাভের জন্য তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হযরত শাহজালাল (রা.) বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, হোটেল রেডিসন, কাকলীর মোড়, বনানী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় স্মরণি, সামরিক জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন মোড় ও গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।

আজকের সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে যা পেয়েছে, অন্য কেউ তা দিতে পারেনি। তিনি দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তিনি যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমরা তাঁকে কিছু দিতে পারব না। শুধু একটু ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাব’, যোগ করেন সৈয়দ আশরাফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আর সম্পর্ক থাকতে পারে না। ভবিষ্যতে বাংলার মানুষ ভেবে দেখবে একাত্তরের হত্যাকারীদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখবে কি না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।