দিনশেষে মুশফিক-আক্ষেপ
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনেও হয়েছে ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াই। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি যে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ভালোমতোই। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২৯৩ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ২২১ রান। হারিয়েছে পাঁচটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে অবশ্য মুশফিক-সাকিবরা এখনো পিছিয়ে আছেন ৭২ রানে।
দ্বিতীয় দিনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ, যদি একেবারে শেষমুহূর্তে আউট না হতেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অনেকটা সময় দারুণ ব্যাটিং করে অর্ধশতকের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৮ রানের জুটি। কিন্তু দিনের একেবারে শেষভাগে ৪৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন মুশফিক। তখন দিনের খেলার বাকি ছিল আর মাত্র তিন ওভার। সাকিব অবশ্য ৩১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ডকে ২৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে শুরুটা সতর্কভাবে করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। প্রথম ১৩ ওভার কাটিয়েছেন নির্বিঘ্নেই। বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই ব্যাটিং করছিলেন ইমরুল। তিনটি চার মেরে করেছিলেন ২১ রান। কিন্তু ১৪তম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন মইন। দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেছেন ইমরুলকে। দুই বল পরে রানের খাতা না খুলতেই সাজঘরের পথ ধরেছেন মুমিনুল হক। তবে ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তামিম। তৃতীয় উইকেটে তামিম-মাহমুদউল্লাহর ৯০ রানের জুটিতে ভর করে ভালো অবস্থান তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ৩৮ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে গেলেও ইংল্যান্ডের বোলারদের আরো কিছুক্ষণ ভুগিয়েছেন তামিম। ১৭৯ বলে ৭৮ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে জাগিয়েছিলেন শতকের আশাও। কিন্তু তৃতীয় সেশনে তামিমকে সাজঘরমুখী করেছেন ব্যাটি।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই ইংল্যান্ডের সাত উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১৪ ওভার ব্যাটিং করেই বাকি তিনটি উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস এসেছে মইন আলীর ব্যাট থেকে। ৫২ রান করেছেন জনি বেয়ারস্টো। ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট।
অভিষেক টেস্টেই দারুণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৮০ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ছয়টি উইকেট।