২৯৩ রানে থামল ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য এসেছিল মেহেদি হাসান মিরাজের হাত ধরে। প্রথম দিনের শুরুতে বোল্ড করেছিলেন বেন ডাকেটকে। সফরকারীদের শেষটাও হলো মিরাজের হাতে। দ্বিতীয় দিনে মিরাজই সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রডকে। তরুণ এই অফস্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩০০ রানের কোটাও পেরোতে পারেনি অ্যালিস্টার কুকের দল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমে গেছে ২৯৩ রানে।
অভিষেক টেস্টে এক ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার মিরাজ। বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। অভিষেকে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের তালিকায় মিরাজের নাম এখন আছে দ্বিতীয় স্থানে। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোহাগ গাজী ছয়টি উইকেট নিয়েছিলেন ৭৪ রানের বিনিময়ে। আর মিরাজ ছয় উইকেট নিয়েছেন ৮০ রান খরচে। দুটি করে উইকেট গেছে দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের ঝুলিতে।
৭ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ ওভার। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই তাইজুল তুলে নিয়েছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ক্রিস ওকসের উইকেট। ৩৬ রানের ইনিংস খেলে শর্ট লেগে মুমিনুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন ওকস। কয়েক ওভার পরে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আদিল রশিদও ফিরেছেন তাইজুলের শিকার হয়ে। আর স্টুয়ার্ট ব্রডের শেষ উইকেটটি নিয়েছেন মিরাজ।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ভালো বোলিংয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করতেই ইংল্যান্ড হারিয়েছিল পাঁচটি উইকেট। এরপর মইন আলীর ৬৮ ও জনি বেয়ারস্টোর ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে স্কোরটা সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট করেছেন ৪০ রান।