রাবি ছাত্র লিপু হত্যার বিচার দাবিতে আলটিমেটাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে সাতদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত শোকর্যালি ও মানববন্ধন শেষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ ঘোষণা দেন। এই সময়ে মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এ মাসের মধ্যে যদি লিপু হত্যার কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে না পাই তাহলে ৩১ অক্টোবর থেকে আমরা জোরালো আন্দোলনে যাওয়াসহ সব বিষয়ে আবহিত করেছি। উনি আমাদের সব কথা শুনেছেন।’
অধ্যাপক বলেন, ‘এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আমি আবারো কথা বলব। যেন এই সাত দিনের আলটিমেটামের মধ্যে পুলিশ প্রশাসন তদন্তের অগ্রগতি দেখাতে পারে।’
ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে আরো বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার লিপুকে হত্যা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাইনি। তাহলে বাংলাদেশের পুলিশ কি এতোটাই অদক্ষ? অথচ তারা নাকি বড়ো বড়ো জঙ্গি ধরছে। কিন্তু একটা ছেলেকে তাঁর কক্ষ থেকে নিয়ে মেরে ফেলল তার কোনো ক্লুই তারা বের করতে পারছে না।’
সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘কখনো রাজনৈতিক কারণে, কখনো এমনিই খুন হচ্ছে। এই খুন আসলে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলবে। খুন ছাড়া নিয়ন্ত্রণ থাকে না ক্যাম্পাসে। তাই আমাদের ভাবতে হবে এভাবেই চলবে নাকি কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন দরকার।’
লিপু হত্যার বিষয়টি যেন হারিয়ে না যায় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান সেলিম রেজা নিউটন।
মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আবদুলাহ আল মামুন, সহযোগী অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হয়দার, সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন, প্রভাষক আবদুল্লাহ হিল বাকি যোগ দেন।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজকের মানববন্ধনে মতিহার হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়।
শিক্ষকরা সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিয়ের পাশের নর্দমা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই হলেরই ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন লিপু। এ ঘটনায় নিহত লিপুর চাচা মো. বশির গতকাল শনিবার রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলাও করেন।