সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চে আগুন
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে পর্যটকবাহী এমভি ফেলিকেন-১ নামের একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। লঞ্চটিতে ২৬ জন পর্যটকসহ ৩৬ লোক রয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির সামনে পশুর নদীতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন বিভাগ, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
ঘটনাস্থলে থাকা হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘পুরো লঞ্চটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তবে লঞ্চের পর্যটক ও স্টাফরা হাড়বাড়িয়া ফরেস্ট কার্যালয়ে নিরাপদে রয়েছেন।’
বন বিভাগ জানায়, ঢাকার উইনস্টার ট্যুরিজম কোম্পানির মালিকানাধীন এমভি ফেলিকেন-১ আজ ভোরে ২৬ জন পর্যটক নিয়ে খুলনা থেকে মংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এরপর সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন থেকে অনুমোদন পাস নিয়ে সকাল ৯টার দিকে পশুর নদী হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। এ দিন সন্ধ্যায় লঞ্চটি পশুর নদীর হাড়বাড়িয়ায় বন বিভাগের টহল ফাঁড়ির অদূরে নোঙর করে। এ সময় হঠাৎ করেই লঞ্চটির পেছানোর অংশে আগুন জ্বলতে দেখে পর্যটকরা চিৎকার শুরু করেন।
আগুন লঞ্চটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই পর্যটক ও কর্মকর্তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে বন বিভাগ।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাহাতুজ্জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।
বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদীজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে বন বিভাগের দুটি দল অবস্থান করছে। অগ্নিকাণ্ডের পর লঞ্চটি থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে কীভাবে ওই লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত করে কেউ জানাতে পারেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, শুক্রবার সকালে ফেলিকন-১ নামের লঞ্চটি ২৬ জন দেশীয় পর্যটকের পাস নিয়ে বনের গহিন অংশে প্রবেশ করে। পর্যটকবাহী এ লঞ্চটিকে শুধু ২৪ ঘণ্টা বনের ভেতর অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।