নাসিক নির্বাচনের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইল বিএনপি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, গণনা থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ পর্যন্ত ঘটনাগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বিএনপি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েন না করায় নির্বাচনী এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ বিদ্যমান ছিল, যার প্রতিফলন আমরা দেখলাম ভোটকেন্দ্রে স্বল্পসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নজিরবিহীন নিরাপত্তা বিধানের আড়ালে রাতের অন্ধকারে কী ভূমিকা রেখেছে, তা নিয়েও জনমনে সংশয় রয়েছে। কারণ, কারফিউর মতো পরিস্থিতিতে কোনো কিছু জনগণের নজরদারিতে থাকার কথা না।’
‘ধানের শীষের প্রার্থীর কারচুপির অভিযোগকে আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি। সে জন্য গতকালের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, গণনা, ফলাফল ইত্যাদির বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নাসিক নির্বাচনে নগরবাসী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকেই মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছে। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিদলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে সাড়ে ৭৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আবার মেয়র পদে জয়ী হন।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী আইভী তাঁর বিজয় দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গ করেছেন। অন্যদিকে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এই ফলাফলে ‘সূক্ষ্ম কিছু একটা হয়েছে’।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ঘোষণা করেন, ‘১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।’