সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতেই বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে আবারো সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। এ কারণেই দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
৭ জানুয়ারির সমাবেশ সফল করতে আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শীর্ষ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অফিসের সামনে যখন পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলার ঘটনা ঘটে, তখন আপনাদের বুঝতে হবে যে কী ধরনের প্রভোকেশন (উসকানি) সরকার দিচ্ছে। সরকার আসলে চাচ্ছে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে একটি উত্তেজনাকর অবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে, সংঘাতময় পরিস্থিতি দিতে।’
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে তাঁর পরিবার থেকে কথা উঠে এসেছে যে এটাতে তাঁর দলের লোকও জড়িত থাকতে পারে, আবার পরিবারের লোকও থাকতে পারে। কিন্তু এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি আপনারা যদি উদ্যোগ না নেন তাতে করে যে আগুন জ্বলে উঠবে তা নেভানো কঠিন হয়ে উঠবে। আজকে সেটাই ঘটছে সন্ত্রাস, হত্যা এবং গুম-খুন যেভাবে চলছে তাতে রাষ্ট্র আছে বলে অনেকের কাছে মনে হয় না।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় প্রজন্মলীগের কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী ৭ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে সমাবেশের অনুমতি মিলবে কি না সে বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাবেশের ১২ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টা আগে আমাদের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আবার নাও দেওয়া হতে পারে।’