কোহলিও চান, বাংলাদেশ খেলুক আরো বেশি টেস্ট
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পেছনে ভারতের আছে বড় অবদান। ২০০০ সালে টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রাটাও শুরু হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু ক্রিকেটের আদি সংস্করণে পথ চলাটা খুব একটা মসৃন হয়নি বাংলাদেশের। বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলতে না পারায় সমৃদ্ধ হয়নি অভিজ্ঞতার ঝুলি। ১৬ বছরে ভারতের মাটিতে গিয়েও বাংলাদেশ খেলতে পারেনি একটি টেস্ট। অবশেষে অবসান হতে চলেছে সেই দীর্ঘ প্রতিক্ষার। হায়দরাবাদে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামবেন মুশফিক-সাকিবরা।
কিন্তু বাংলাদেশ কেন বেশি বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে ওয়ানডের মতো টেস্টেও বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলেই বিশ্বাস কোহলির। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার জন্য যে পরিমাণ ম্যাচ খেলা দরকার, সেই সুযোগটা তাদের হয় না। বাংলাদেশ ওয়ানডেতে খুবই ভালো দল হিসেবে গড়ে উঠেছে। কারণ তারা অনেক ওয়ানডে খেলে। আর সেখানে তাদের একটা সুন্দর বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি যদি টেস্ট বেশি করে না খেলেন, তাহলে এই ফরম্যাটের কৌশলগুলোই বুঝতে পারবেন না।’
বেশি বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ যে অনেক ভালো করবে, সেটাও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কোহলি, ‘আমি নিশ্চিত যে, বেশি বেশি টেস্ট খেলতে পারলে এখানেও তাদের একটা শক্তিশালী দল তৈরি হবে। আমার মনে হয় এটা হওয়া উচিত। তাদের অবশ্যই টেস্টে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সক্ষমতা আছে।’
বাংলাদেশ যে এবারই প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে আগে নাকি কোনো ধারণাই ছিল না কোহলির। ব্যাপারটা বুঝতে পারার পর এখন কোহলির চাওয়া, বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজ যেন আরো বেশি করে হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি খুব সম্প্রতি বুঝতে পেরেছি যে, বাংলাদেশ ভারতে খুব বেশি আসে না। আমরা বাংলাদেশে প্রায়ই যাই। কিন্তু তারা আগে কখনোই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ভারতে আসেনি। কাজেই এটা সত্যিই একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, দুই দলের জন্যই। আমি আশা করছি এটা যেন আরো বেশি করে ঘটে। তাদের আরো বেশি করে ভারতে আসা উচিত।’