ডি মারিয়ার কাছে বিধ্বস্ত মেসি-নেইমাররা
ডি মারিয়া কবে এর চেয়ে ভালো রাত কাটিয়েছেন সেটা তাঁর নিজেরই মনে নেই। একে তো আর্জেন্টাইন এই তারকার জন্মদিন তার ওপর ৪-০ গোলে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে পিএসজি। খুশির মুহূর্তটা কয়েকগুণ বেশি বেড়ে গেল কারণ মারিয়ার জোড়া গোলেই প্যারিস থেকে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে বার্সা। মারিয়ার জোড়া গোলের দিন গোল করেছেন কাভানি ও ড্রাক্সলার। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বে বার্সাকে জিততে হবে ৫-০ গোলে। লক্ষ্যটা অসম্ভব নয় তবে কঠিন তো বটেই।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। ৫৮ শতাংশ বলের দখল রাখলেও ম্যাচজুড়ে খুঁজেই পাওয়া যায়নি মেসি-সুয়ারেজদের। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সার রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়ান মারিয়া-কাভানিরা। প্রথম ১০ মিনিটে অন্তত তিনবার কাতালানদের আক্রমণ করে বসে স্বাগতিকরা। তবে মারিয়া ও কাভানির সামনে বেশ ভালোই পরীক্ষা দেন টের স্টেগেন আর পিকেরা।
১৮তম মিনিটে পিএসজির উৎসবের শুরুটা করেন ডি মারিয়া। অসাধারণ ফ্রি কিক থেকে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা। এক গোলে এগিয়ে যাওয়া পিএসজি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যখনই আক্রমণে উঠেছে তখনই বার্সাকে কাঁপিয়ে ছেড়েছে দলটি। ২৭তম মিনিট সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। তবে নেইমারের পাস কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আন্দ্রে গোমেস। ৩৪তম মিনিটে জুলিয়ান ডাক্সলারের বল কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। তবে ৪০তম মিনিটে তাকে আর ঠেকাতে পারেনি বার্সা। মার্কো ভেরাত্তির পাসে সহজ এক গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো ঝিমিয়ে পড়ে বার্সা। এই সুযোগে ৫৫তম মিনিটে অসাধারণ এক কিকে গোল করেন মারিয়া। এবারও কেবল চেয়ে চেয়ে দেখেছেন টের স্টেগান। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া মারিয়ার শটে সিএসজির উৎসব পূর্ণতা পায়। তবে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে গোল না পাওয়া কাভানি গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ৭১তম মিনিটে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন এই উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। থমাসের পাস থেকে পাওয়া বলে স্টেগেনকে বোকা বানান কাভানি।
এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিলেন মেসিরা। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠেও ৩-০ গোলে হারে বার্সা।