আদালতে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি খাদিজার
নিজের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা বর্ণনা করে আদালতের কাছে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন খাদিজা।
মামলার আসামি বদরুলের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন বদরুল। খাদিজার ওপর হামলার ঘটনার সময় বদরুল স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। আদালত বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তাঁর মক্কেলকে খালাস দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে খাদিজার আইনজীবী আ ক ম শিবলী বলেন, আদালতে দাঁড়িয়ে খাদিজা তাঁর ওপর হামলাকারী বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘বদরুল পূর্বপরিকল্পিতভাবে খাদিজার ওপর হামলা করেছিলেন। এখন তিনি নেশাগ্রস্ত ছিল বলে ভণিতা করা হচ্ছে। এসব ভণিতা ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করবে না।’
খাদিজার ওপর হামলা মামলার আসামি বদরুল আলমকেও আজ আদালতে হাজির করা হয়। হামলার ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর আজ প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হন বদরুল ও খাদিজা।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হতে থাকেন খাদিজা। এর পর তাঁকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সিলেটে নিজ বাড়িতে ফেরেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।