কোহলি ক্রিকেটের ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’!
জমে উঠেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। দুই দলের বর্তমান খেলোয়াড়রা তো একে অপরকে আক্রমণ করেই চলছিলেন, কম যাননি সাবেকরাও। এবার সেই তালিকায় যোগ দিল দেশ দুটির মিডিয়া। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করল অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র ‘টেলিগ্রাফ’।
সংবাদপত্রটি তাদের এক কলামে বলেছে, বিরাট কোহালি ক্রমশ বিশ্ব ক্রিকেটের ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ে উঠছেন। ট্রাম্পের মতো সংবাদমাধ্যমকে অভিযুক্ত করেছেন বিরাট।
যেখানে লেখা হয়েছে, ‘বিরাট কোহালি বিশ্ব ক্রীড়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ে উঠছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো কোহালিও ঠিক করে নিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে অভিযুক্ত করবেন নিজের দোষ ঢাকতে।’
কোহলির ওপর কেন চটল অসি মিডিয়া। কারণটাও সবার জানা, বেঙ্গালুরু টেস্ট চলাকালে আউট হওয়ার পর ডিআরএসের জন্য ড্রেসিংরুমের সাহায্য চেয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি কোহলি। আম্পায়ারের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান ভারত অধিনায়ক। যদিও আইসিসি এই বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর রাঁচি টেস্টে কোহলির চোট নিয়ে ব্যঙ্গ করেন স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলরা। এমনকি এই ঘটনায় ভারতীয় ফিজিওকেও ছাড়েননি তাঁরা। কোহলির সঙ্গে ফিজিওকেও বিদ্রূপ করেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা।
সংবাদ সম্মেলনে ছেড়ে কথা বলেননি কোহলি। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর যে, ভারতীয় সাংবাদিকরা যখন কথা বলেন, প্রথমে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন আর অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকরা বিতর্কিত বিষয়টাই প্রথমে সামনে আনেন। যাই হোক, ক্রিকেট মাঠে অনেক কিছুই ঘটে থাকে। তবে হঠাৎ করেই তারা (অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা) প্যাট্রিকের নাম এখানে জড়াতে থাকে। আমি জানি না কেন। ও আমাদের ফিজিও। ওর কাজ আমার চিকিৎসা করা। আমি বুঝতে পারিনি। এর পেছনে কারণও খুঁজে পাইনি।’
তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে ফিজিওকে অসম্মান করার বিষয় অস্বীকার করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ‘এটা খুব হতাশাজনক। এমন কিছু হয়নি। কোহলি যেটা বলছে ঠিক তার উল্টোটা ঘটেছে। চোট কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরে আসে কোহলি। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে ফিজিও বেশ ভালো কাজ করেছে।’ ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জবাব দেওয়ার কাজটা করেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলীয় মিডিয়াকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ার কিছু হয়নি। ওরা যেটা লিখছে যা দেখে মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দলের সাপোর্ট স্টাফরা বলছে।’ গাভাস্কারের জবাবে অস্ট্রেলীয় সাবেক তারকাদের কে কী বলেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।