বোমায় কলাপসিবল গেটটা উড়ে পাশের ভবনে গিয়ে পড়ে
সিলেটের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরুর পর পরই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, ভিতরে থাকা ‘জঙ্গিরা’ ‘বেশ প্রশিক্ষিত’ এবং তাদের কাছে ছোট অস্ত্র থেকে শুরু করে শক্তিশালী বিস্ফোরক রয়েছে। এসব ব্যবহার করে তারা সেনাবাহিনীর জন্য অভিযানকে ‘দুর্গম’ করে তুলেছিলো।
আজ সোমবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে সেই শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহারের একটি উদাহরণ তুলে ধরেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।
বিস্ফোরকের শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিস্ফোরকের শক্তিমত্তা সম্পর্কে একটা ধারণা বলি। যেমন, (আতিয়া মহলের’) কলাপসিবল গেটের সামনে বালতির মধ্যে এক্সপ্লোসিভ ছিল, ওটা যখন ডেটরেট করেছে কলাপসিবল গেটটা পুরোটা উড়ে এসে পাশের বিল্ডিংয়ে এসে পড়েছে। আমাদের ওখানে তিন চারজন সদস্য ছিল তারা ছিটকে গেছে। পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠে।’
‘এ রকম এক্সপ্লোসিভ তো ভেতরে আরো থাকতে পারে। আমাদের কোনো সদস্য আহত হয়নি। আমাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তারা এক্সপ্লোসিভ ফুটিয়েছে, গ্রেনেড লক করেছে, ফায়ার করেছে। তাদের যা ছিল সেগুলো তারা ব্যবহার করেছে’, যোগ করেন ফখরুল আহসান।
গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও শনিবার তারা ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরু করে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গতকাল রোববার ভবনে থাকা দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার নিহত হন আরও দুইজন। গত শনিবার সেনাবাহিনীর পক্ষে প্রথম ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। পরে রোববার এবং আজও ব্রিফিং হয়। অভিযানের তথ্য তুলে ধরেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।
‘জঙ্গিরা সম্ভবত সুইসাইডাল ভেস্ট এক্সপ্লোড করেছে’ উল্লেখ করে সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘যে ডেডবডিগুলো পেয়েছি তাঁদের তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা। তবে আমরা দুটো ডেডবডি বের করে নিয়ে আসতে পেরেছি। দুটো ডেডবডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
‘বাকি দুটো ডেডবডির মধ্যে এখনো সুইসাইডাল ভেস্ট লাগানো। যে অবস্থায় আছে, তাদের সেখান থেকে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ। ডেডবডিগুলো কীভাবে বের করব সে পরিকল্পনা আমরা করছি। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব’, যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।