খালাসের আগেই এরশাদের মুচকি হাসি!
রাডার ক্রয় দুর্নীতির মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আজ বুধবার আদালতে প্রবেশের সময় মুচকি হাসি হাসেন। পরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার আসামি এরশাদসহ তিনজনকে খালাস ঘোষণা করে রায় দেন।
আজ বেলা ৩টা ৩৪ মিনিটে এরশাদ আদালতের এজলাসে হাজির হন। তাঁর সঙ্গে তখন ছোট ভাই জি এম কাদের, ভাগ্নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলীয় নেতারা ছিলেন।
গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
এরশাদের মামলাটি আগে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি পর্যায়ে ওই আদালতের বিচারক বিব্রত বোধ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন। এর পরে এ আদালতে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন সুলতান মাহমুদ ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ। মামলার অপর আসামি এ কে এম মুসা মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন। তবে তিনি মারা যাওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চার জনের বিরুদ্ধে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে দুদক) অভিযোগপত্র দাখিল করে।
পরবর্তী সময়ে, ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরবর্তী সময়ে, ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।