যেকোনো বাধা পেরিয়ে সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণ : মেয়র নাছির
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, যেকোনো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে চট্টগ্রামে সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। সুইমিং কমপ্লেক্স নিয়ে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সহ্য করা হবে না।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মেয়র গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের তৃণমূলের খেলোয়াড়দের নিয়ে মেয়র গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যা করার প্রয়োজন তাই করবে। এ কমপ্লেক্সটি প্রধানমন্ত্রী একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন করেছেন। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, তাঁরা সুইমিং কমপ্লেক্সের বিপক্ষে না। কিন্তু খেলার মাঠেই সুইমিং পুল চান না তারা। খোলা মাঠ সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি।
গতকাল বুধবার এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রতিরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের জের ধরে কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি মোড় ও প্রবর্তক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর এবং সড়কে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় নগরজুড়ে যানজট ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সুইমিংপুল ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে বিকেলে মিছিল নিয়ে আউটার স্টেডিয়ামে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং সুইমিং পুলের নির্মাণ সামগ্রী ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের তর্ক বাঁধে। একপর্যায়ে ইটের আঘাতে পুলিশের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ব্যবহার শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এরপর ছাত্রলীগের কর্মীরা রাস্তায় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করেন।